তবুও ভালোবাসবোই
মিজানুর রহমান তোতা
জীবনে আর কখনো সেইরকম প্রেম ভালোবাসা আসেনি
একদিন—
জোস্না রাতে গাছতলায় দাঁড়িয়ে আছি আনমনা
ছেঁড়া আলো গাছের ডালপাতা ভেদ করে শরীরে বিঁধছে
তুমি এলে মৃদু পায়ে মিষ্টি আলোয় আলো দিতে
স্বস্তির হাসি হাসলাম
তুমি বললে চললাম
কিছুক্ষণ থাকলে না, কেন আসলে কেনইবা চলে গেলে বুঝলাম না।
হৃদয়ে আছড়ে পড়ে সেই প্রেম ভালোবাসা,
নিরবতা ভেঙে কাছে এসো প্রেম সুধা রসে ভরিয়ে দাও আমায়।
নাহ হলো না–প্রেম ভালোবাসা।
আরেকদিন–
বর্ষায় কাকভেজা তুমি
বৃষ্টি ভেজা শরীরে লেপ্টে ছিল নীলাম্বরী
সে এক অদ্ভুত অনুভূতির শিহরণ।
বলা হয়নি কারণ–
আবেগ ছিল তোমার তুঙ্গে
তুমি নিশ্চয়ই ভেজা শরীরেরও ছবি এঁকেছিলে মনে
শরীরের ছন্দ হিল্লোলে বিস্ময়ে হেলেদুলে হাঁটলে
আজো ক্ষণে ক্ষণে মনে পড়ে।
তোমার ঠোঁটের এক চিলতে হাসি
মনচোখে সারাক্ষণ খেলা করে
বাসা বাঁধে বাসনার জগতে।
কিছুদিন পর–
সম্পুর্ণ নির্জনতায় অদ্ভুত দীর্ঘশ্বাস
ছিটকে আসা ছিঁটেফোঁটা আলো ঠোঁটের কোণে–
লজ্জায় লাল হয়ে ওঠা মুখ
চোখের গরম ক্লান্ত দেহ, ভরা শরীরের উচ্ছ্বাস
ভীষণ ইচ্ছেটা দোলা দিয়ে ওঠে। তাও হলো না এই দিনেও।
সেই যে প্রেম ভালোবাসা কাহিনীর অপমৃত্যুর ঘটনা মনে পড়ে আজো
সারাক্ষণ অনুভূতির টুকরো স্মৃতির ঘোরে মনের ভেতর
ভুলতে পারবো না কিছুতেই।
এরপর আর কখনো সেইরকম প্রেস ভালোবাসা জোটেনি আসেনি
নৈঃশব্দে প্রেমনৃত্য চাহনিতে মধুর আলিঙ্গন হয়নি
চোখ বুজলে ভেসে ওঠে বিশেষ মুহূর্তের দৃশ্যের হাতছানি।
অপরূপ ভাবের ব্যঞ্জনা–
কথা টেনে নিয়ে জন্ম দিয়েছে ভিন্নমাত্রার
প্রেম ভালোবাসা অনুভূতি আবেগ উচ্ছ্বাস নেই
তুমি গভীরভাবে স্মৃতিগুলো মনে রেখো
তবুও আমি ভালোবাসবোই–বাসবো।
Leave a Reply