হঠাৎ বিজলীদণ্ড আমার মস্তকে
চির ধরিয়ে দেয় ,এক কৃষ্ণপ্রহর দুপুরে
আমিও দ্বিখণ্ডিত করি প্রচণ্ড আক্রোশে
সূর্যের রশ্মিকে ,টেমসের তীরে বসে কলমের শলাকায় !
তারপর ঈশ্বর আর আমি একেঅন্যের সম্মুখে
আমি অপরাধী উনি কৃপালু
আমি সুঁতির পালক বিছিয়ে
করজুড়ে প্রার্থনার প্রহরে দাঁড়িয়ে মেলে ধরি নিজেকে
লাজুক পুষ্পের মতো নতমস্তকে –
হীম কুয়াশায় সিক্ত হই সূর্যমুখী যেমন !
কী কথা হয় মনে নেই আর
ঠোঁট থেকে টুক্ করে লাফ দেয়
কথাগুলো হরিণশিশুর মতো !
আমি ধরতে গেলেই মুঠোভরে ফিরে আসে শুধু শূন্যহাত !
শূন্যতাই এখন জীবন মহাজীবনের খোঁজে
কিন্তু একটি স্ফুলিঙ্গ ছুঁয়ে যায় আমার অস্তিত্ব ।
জমে যাওয়া তুষারের জঠরে –
পুঁতে দেই আগ্নেয়গিরির অগ্নিবীজ
গোপনে পোক্ত হোক অসিমের আরাধনায়
যদি কখনো অঙ্কুরিত হয় তবেই আমার মুক্তি
Leave a Reply