পৃথিবীর দেয়ালে যখন ঠেকে যায় পিঠ
শামীম আহমদ
পরাজিত সেই ফ্যাকাশে মুখগুলো
চৈত্রের ফাটা মাঠের মতো ঠোঁট
নেই আদ্রতার লেশ
নিয়তির প্রখরতায় বাস্পিত মুখের লালা,
নাষিকারন্দ্রের বেড়িবাঁধে বিষাক্ত মাছির প্রজননে
বড্ড ক্লান্ত কিছু মানুষ ,মহাকালের স্তন চুষে চুষে
এখনও নিঃশ্বাসের হাই তুলে বাচাঁর প্রবল উচ্ছ্বাস নিয়ে
শ্রান্ত হাতের আঙুলে গজিয়েছে বৃক্ষের মতো শেকড়
মাটির নির্মল আদ্রতা পান করে সবুজ পল্লবের প্রার্থনায় ,
শুকিয়ে যাওয়া চোখের জলে,
ভাঙা পটের মতো দুটি গালে ,
জেগেছে লবনের চর,
সেই চরে স্বপ্নিল বৃক্ষের গগন ছোঁয়া উল্লাস ।
ল্যাম্পপোস্টের দণ্ডিত আলোর নিচে স্বপ্ন সাজে
বেঁচে থাকার স্বপ্ন ,
পূর্ণিমার চাঁদের থালায় অমৃত্যের মতো পান্তাভাত !
কিন্তু ক্ষুধা মিটে না তাঁদের ,
দ্বিখণ্ডিত চাঁদের ফাঁকে স্বপ্ন হারিয়ে যায় মহাব্যুমে ।
ভাঙে ঘুম
জেগে ওঠে স্বপ্নকাতর মানুষ ,
দিনের হাজিরা খাতায় লিখে নাম
শাণ দেয় লাঙলের ফলা ,
জমাটমেঘের বুকে লাঙ্গলরেখায় বহায় জলের স্রোতধারা
পাষাণের বেদীতে মাটির চারাগুলো যেনো আবার
শনশন করে বেড়ে ওঠার অনন্ত প্রচেষ্টায় ।
Leave a Reply